সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫,

জাম

জাম এতো উপকারী আগে জানতেন?

জাম একটি গ্রীষ্মমৌসুমী ফল। অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলের বিচি বা বীজও স্বাস্থ্যগত দিক থেকে খুবই উপকারী। চলুন জেনে নেয়া যাক, জামের বিচি খেলে কী হয়?

জাম ফল যেমন সুস্বাদু তেমনি এর বিচিও উপকারী।

জামের বিচি খাওয়া নিয়ে সাধারণত দুই ধরনের মত রয়েছে। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো:

 

 

১. জামের বিচির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা:

 

 

বহুকাল আগে থেকেই জামের বিচি আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:

জামের বিচিতে জ্যাম্বলিন (jamboline) নামক একটি উপাদান থাকে; যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য:

জামের বিচিতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।

 

হজমে সহায়তা:

জামের বিচি গুঁড়া করে খেলে হজমে কিছুটা সহায়তা করতে পারে; বিশেষ করে ডায়রিয়া বা পেট খারাপ হলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে পারে কিছু উপাদান।

২. জামের বিচি খাওয়ার ঝুঁকি ও সাবধানতা:

কাঁচা বা বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়: কাঁচা বিচি বা বেশি পরিমাণে খেলে গ্যাস, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব হতে পারে।

গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের সাবধানতা:

 

এই সময় কোনো ভেষজ বা বীজ জাতীয় কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।

 

যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা খুবই কম থাকে, তাদের জন্য জামের বিচি রক্তচাপ বা রক্তে সুগারের পরিমাণ আরও কমিয়ে দিতে পারে — ফলে সাবধান থাকা জরুরি।

 

জামের বিচি কীভাবে খাওয়া যায়:

 

বিচি শুকিয়ে গুঁড়ো করে সকালে এক গ্লাস পানির সঙ্গে আধা চা চামচ করে খাওয়া যেতে পারে। খালি পেটে জামের বিচি না খাওয়াই ভালো এবং দিনে একবারই যথেষ্ট।

 

** সতর্কতা: আপনার যদি ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে তাহলে জামের বিচি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।